বুধবার ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপিতে গণবহিষ্কার ঘিরে বাণিজ্য, তৃণমূলে হতাশা-ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ০১ মে ২০২৪ | প্রিন্ট

বিএনপিতে গণবহিষ্কার ঘিরে বাণিজ্য, তৃণমূলে হতাশা-ক্ষোভ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় গণহারে বহিষ্কার চলছে বিএনপিতে। এরই মধ্যে দল ও অঙ্গ সংগঠনের ৮০ জনের মতো নেতাকে তাদের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাতিল করা হয়েছে প্রাথমিক সদস্যপদ। এমন গণবহিষ্কারে তৃণমূলে নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা।

সাংগঠনিক শৃঙ্খলার প্রশ্ন সামনে আনা হলেও তৃণমূল নেতাদের গণহারে বহিষ্কারের এই প্রবণতার পেছনে কারো কারো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলেও মনে করেন তৃণমূলের অনেক নেতা।

তারা বলছেন, বিপর্যস্ত তৃণমূলকে উজ্জীবিত করার স্বার্থে নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণকারী নেতাদের ব্যাপারে এতটা কঠোর হওয়া ঠিক হয়নি। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড কমে যাওয়ায় দলের অনেক নেতা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ করতে বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের তৎপরতাকে উৎসাহিত করেন। বহিষ্কারের পর পদ ফিরে পেতে অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কাছে ধরনা দেন। অনেক ক্ষেত্রে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য আর্থিক লেনদেনও হয়ে থাকে। উপজেলা নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক বহিষ্কারের পেছনেও কারো কারো সে ধরনের উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

বিএনপির দফতর সূত্রে জানা গেছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে জাতীয় সংসদসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া কিংবা প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় গত কয়েক বছরে দল ও অঙ্গসংগঠনের পদধারী প্রায় ৫০০ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরেই বহিষ্কার হন শতাধিক নেতা। বাকিরা সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশ নিয়ে বহিষ্কৃত।
এছাড়া সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিভিন্ন সময় দলটির আরো কিছু নেতাকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। পরে দলে ফিরতে ভুল স্বীকার করে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০-২৫ জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। দফতরে জমা রয়েছে অনেকের আবেদন। তবে বহিষ্কৃত নেতাদের জন্য বিএনপির দরজা সহজে খুলছে না বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

তৃণমূলের নেতারা বলছেন, অনেক সময় ঠুনকো অভিযোগেও বহিষ্কার করা হয়। যে প্রক্রিয়ায়ই বহিষ্কার হোক না কেন, সেটি প্রত্যাহার করানোর জন্য নানা হয়রানির মুখে পড়তে হয়। অনেকেই বহিষ্কার হওয়ার পরও দলের জন্য নিবেদিত থাকেন। কিন্তু কেন্দ্রে জোরালো তদবির ছাড়া বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয় না। অনেক ক্ষেত্রে দলীয় সদস্যপদ কিংবা পদবি ফিরে পেতে আর্থিক লেনদেন করতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০১ মে ২০২৪

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]